
বিশেষ প্রতিবেদন:
বিশ্ব প্রাণী দিবসের সূচনা হয় ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। সেসময় ইউরোপের বিভিন্ন প্রাণী সুরক্ষা সংগঠন একটি সম্মেলনে একত্রিত হয়েছিল। সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীকে রক্ষা করার উপায়। সেখানেই প্রথমবারের মতো ৪ অক্টোবর দিনটিকে “বিশ্ব প্রাণী দিবস” হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ অক্টোবর বেছে নেওয়ার পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। এটি ছিল সেন্ট ফ্রান্সিস অব আসিসি-র মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ছিলেন প্রাণী ও প্রকৃতির একনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা, দয়া ও সহমর্মিতার প্রতীক। তাই তাঁর স্মরণে এই দিনকে প্রাণী দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
শুরুতে দিবসটি মূলত ইউরোপেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে প্রায় সব দেশেই প্রাণীর অধিকার, কল্যাণ ও সুরক্ষার প্রশ্নে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়।
১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিকভাবে “Universal Declaration of Animal Rights” বা “প্রাণীর অধিকার ঘোষণা” গৃহীত হয়। এতে প্রাণীর প্রতি নির্যাতন বন্ধ করা এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়। এরপর থেকেই প্রাণী দিবস আরও বিস্তৃত আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
আজ বিশ্ব প্রাণী দিবস শুধু বিপন্ন প্রাণী নয়, সব ধরনের প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা, সুরক্ষা ও সহানুভূতি প্রকাশের একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—প্রাণী ও মানুষ মিলেই এই পৃথিবী, আর তাদের ছাড়া জীবনের ভারসাম্য অসম্পূর্ণ।