
বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার কৃতি সন্তান। তাঁর এই গৌরবময় অর্জন ও দায়িত্ব ঝিনাইদহবাসীর জন্য এক গভীর গর্বের ও আনন্দের উপলক্ষ। তিনি শুধু একজন প্রজ্ঞাবান আইনবিদ নন, বরং একজন আলোকিত, সংস্কৃতিবান্ধব ও সৃজনশীল মানুষ—যিনি মানবিক চেতনা ও সংস্কৃতির শক্তিতে বিশ্বাস করেন।
সম্প্রতি ঝিনাইদহ জেলার সংস্কৃতিকর্মীরা সৌজন্য সাক্ষাতে তাঁর সঙ্গে মিলিত হন। ফুলের শুভেচ্ছার মাধ্যমে তাঁকে অভিনন্দন জানান। এই সাক্ষাৎ শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান ছিল না—এটি ছিল সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও মানবিকতার এক আন্তরিক সংলাপ।
মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংস্কৃতি হলো একটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এটি মানুষের চিন্তা, চেতনা, জীবনবোধ ও মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটায়। সাহিত্য, সংগীত, নাটক, চিত্রকলা, লোকজ ঐতিহ্য—এসবই আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সমাজকে করে তোলে মানবিক ও আলোকিত।
সংস্কৃতি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি। একটি সংস্কৃতিবান সমাজেই ন্যায়, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবিকতা বিকশিত হয়। তাই সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখা মানে মানুষের ভেতরের আলো জ্বালিয়ে দেওয়া।
জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান এই চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিজীবনেও। তাঁর আলোকিত চিন্তা, ন্যায়নিষ্ঠতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহেশপুর উপজেলার বনলতা নাট্য সংসদ ও ঢাকার শতদল থিয়েটার এর পরিচালক কবি গবেষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা পথিক শহিদুল। তিনি মনে করেন, “সংস্কৃতিই মানুষের আত্মার ভাষা।” এই চর্চা অব্যাহত থাকলে সমাজ আলোকিত হবে, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। তিনি প্রত্যাশা করেন, জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান তাঁর নিজ জেলা ঝিনাইদহের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করবেন।
জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে থেকে তিনি ন্যায়বিচার, মানবতা ও আলোকিত সমাজ গঠনের যে দায়িত্ব পালন করছেন—তা ঝিনাইদহবাসীর জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা।
ঝিনাইদহের সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, “আমরা গর্বিত, আমাদের জেলার সন্তান আজ দেশের সর্বোচ্চ আইনি দায়িত্বে আসীন। তাঁর মেধা, মনন ও সাংস্কৃতিক চেতনা আমাদের পথপ্রদর্শক হবে।”
সংস্কৃতিকর্মীদের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয় আন্তরিক শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর সাফল্য ঝিনাইদহের প্রতিটি মানুষের মুখে এনে দিয়েছে গর্বের হাসি—এ যেন আলোকিত ঝিনাইদহের এক নতুন অধ্যায়।